Thursday, 16 July 2020

ছাদ বাগান কিভাবে করবো

ছোট পরিসরে করতে চাইলে - ছাদ বাগান বর্তমানে জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এই বাগান করা যেমন সহজ তেমনি হাতের কাছের অনেক জিনিসেই সহজেই ছোট বাগান গড়ে উঠতে পারে। ছোট পরিসরে করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে-ফেলে দেয়া কৌটা,দইয়ের বাটি  অথবা ছোট টব  ইত্যাদি। আপনার বারান্দাতে,জানালার পাশে এসব জিনিস ছোট হওয়ায় খুব সহজেই জায়গা হয়ে যাবে।তাতে ফেলে দিতে পারেন  কাঁচা  মরিচের বীজ অথবা  বোম্বে মরিচের বীজ অথবা   ধনে পাতার নিচের অংশটি ফেলে না দিয়ে পুতে ফেলতে পারেন। খুব সহজেই দেখবেন একটু যত্নেই বেড়ে উঠেছে।এছাড়া অ্যালোভেরা,পাতাবাহার,থানকুনি পাতা,তুলসি,পাথর কুচির মতো গাছ লাগাতে পারেন যা আপনার ঔষুধি চাহিদাও পূরন করবে।লাগাতে পারেন গুল্ম জাতীয় ফুল গাছ- গাঁদা,গোলাপ।
ফেলে দেয়া কৌটাতে লাগাতে পারেন মরিচের মত ছোট গাছ

            বারান্দাতেই হতে পারে আপনার  ছোট বাগান
                                     


বড় পরিসরে করার জন্য- বড় পরিসরে  করতে চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে ড্রাম,  মাটির টব, স্টিল বা ফ লের প্লাস্টিক ট্রে। অনেক সময়  ভাঙা  বালতি, অব্যবহৃত তেলের বোতলও ছোটখাটো গাছ রোপণের জন্য ব্যবহার করা যায়।  ছাদের সুবিধা মতো স্থানে স্থায়ী বেড (ছাদ ও বেডে মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে) স্থাপন করা যেতে পারে। এসব বেডে মূলত সবজি, শাক চাষ করা যায়। চাইলে লাগানো যায় ফুলগাছ। স্থায়ী বেড বানাতে না চাইলে পুরনো বাথটাব অনেক জায়গায় বেড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পুরোনো বাথটাব আপনার আশেপাশের ভাঙ্গারি দোকানেই পেয়ে যাবেন।                   
গাছের জন্য তৈরি করতে পারেন মাচা
                       

যেহেতু ছাদ বাগান স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা হয় কাজেই এর যত্ন-এর দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে। সে জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রথমেই সংগ্রহ করে নিতে হবে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে আছে সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন এসব। চারা রোপণের আগে চারার উচ্চতা, শিকড়ের প্রকৃতি, সহিষ্ণুতা এসব জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে। সব চারা ও গাছ ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত না। 

ফুলের মেলায় ভরে  উঠুক আপনার বাগান
সাধারণত ফল গাছের জন্য হাফ ড্রাম ব্যবহার করা উচিত। এর তলদেশে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ ইঞ্চি ব্যাসের ৫-৬টি ছিদ্র রাখতে হবে। ছিদ্রগুলোর ওপর মাটির টবের ভাঙা টুকরো বসিয়ে দিতে হবে। ড্রামের তলদেশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর বালি  দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।  সমপরিমাণ দো-আঁশ মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ড্রামটির দুই তৃতীয়াংশ ভরার পর হাফ ড্রাম অনুযায়ী ড্রাম প্রতি মিশ্র সার আনুমানিক ৫০-১০০ গ্রাম প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ ড্রামটি মাটি দিযে ভর্তি করে নিতে হবে। ১৫ দিন পর ড্রামের ঠিক মাঝে মাটির বল পরিমাণ গর্ত করে কাক্সিক্ষত গাছটি রোপণ করতে হবে। এ সময় চারা গাছটির অতিরিক্ত শিকড়-মরা শিকড়গুলো কেটে ফেলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটির বলটি যেন ভেঙে না যায়। রোপিত গাছটিতে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। রোপণের পর গাছের গোড়া ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। সময়ে সময়ে প্রয়োজনমতো গাছে পানি সেচ ও উপরি সার প্রয়োগ বালাই দমন ব্যবস্থা নিতে হবে। চাইলে   টব বা ড্রাম এ মাটি দেয়ার আগেই মাটি শোধন করে নেয়া যেতে পারে। গাছের বাড়-বাড়তি অনুযায়ী ২ বারে টব প্রতি ৫০-১০০ গ্রাম মিশ্র সার প্রয়োগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।   
সার বা মাটি তৈরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেয়াই ভালো 

5 comments:

  1. Informative & inspiring to do roof gardening 💙
    Do you guys provide small flower plants ?

    ReplyDelete
    Replies
    1. As you are our blog's first commentator,We have a gift for you.Please email your address. ^_^

      Delete
  2. Not yet,but soon we will try to provide it.You can join our group. <3

    ReplyDelete
  3. This comment has been removed by the author.

    ReplyDelete
  4. Wow ! That's sounds surprising .Wish you guys all the best 😎 & thank.

    Please provide the link where i can send my email addres.

    ReplyDelete