Showing posts with label উপকারিতা. Show all posts
Showing posts with label উপকারিতা. Show all posts

Wednesday 27 October 2021

নিরবিশী ঘাস

চারিদিকে সবুজের মেলা এরই মাঝে উঁকি দিচ্ছে সাদা সাদা ফুল। সেই সাদা ফুলগুলো নিয়ে বাচ্চারা ডিম বানাচ্ছে।তবে সেদিন এখন আর নেই।শুধু র‍য়ে গিয়েছে  এই ফুলগুলি................................



ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত
গোথুবী
                                




প্রায়শই রাস্তার পাশে,ছায়াযুক্ত তৃণভূমিতে এর দেখা মেলা  শুধু ঘাস্ফুল হিসেবে পরিচিত হলেও এর আসল নাম নিরিবিশী ঘাস। এর আরো নাম রয়েছে নিরবিশী ,নিরবিশা,গোথুবী, শ্বেত গোথুবী। 

এর ইংরেজী নাম- white water sedge,hitehead spikesedge 
বৈজ্ঞানিক নাম -Kyllinga nemoralis

এদের সাধারণত রাইজোমের মাধ্যমে বংশবিস্তার হয়ে থাকে।কান্ডগুলি  ২২" বা ৫০ সে.মি পর্যন্ত হতে পারে,পাতাগুলো লম্বাটে। ফুলগুলি সাদা অনেকটা ছোট ভুট্টার মতো।

চিকিৎসাঃ    
  •  চায়নাতে ঠান্ডা,ব্রঙ্কাইটিস,ম্যালেরিয়া,আরথাইটিস
  • মালেশিয়াতে ডায়রিয়ার জন্য
  • এছাড়া জয়েন্ট ব্যথার চিকিৎসার জন্য এর ব্যবহার দেখা যায়।

আমাদের ব্লগ সম্পর্কিত কোন মন্তব্য কিংবা আপনার প্রিয় গাছের নাম জানাতে আমাদের লিখে পাঠাতে পারেন।😊



Saturday 1 August 2020

ঢেঁড়সের গুনাগুন

ঢেঁড়স বা "Lady's fingers" -পুষ্টি গুনে অনন্য এক সবজি,এতে আছে-

ভিটামিন বি
ভিটামিন সি
ফলিক এসিড 
পটাসিয়াম



ঢেঁড়স ছাদের বাগানে রোপণের পদ্ধতি জানতে ক্লিক করুন

ঢেঁড়সে ফাঈবার থাকার কারণে এটি কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং হজমে সাহায্য করে।এছাড়া গ্যাসের সমস্যা কমায়।

ফাইবারের পরিমাণ বেশী থাকায় থাকায় অনেকেই ডায়েটের জন্য উপাদেয় খাদ্য হিসেবে খেয়ে থাকে।

এতে থাকা এ্যাণ্টি অক্সিডেন্ট  বিষণ্ণতা, দুর্বলতা এবং অবসাদ দূর করতে সাহায্য করে।

এতে কোলেস্ট্রেরলের মাত্রা কম থাকায় হার্টকে সুস্থ রাখে এবং ডায়বেটিস রোগীদের জন্যও ভালো এর পাশাপাশি খারাপ কোলেস্ট্রেলের মাত্রাও কমাতে সাহায্য করে।

এতে থাকা vitamin B9 গর্ভাবস্থায় ভ্রূণ তৈরির জন্য ভালো ঢেঁড়স গর্ভাবস্থায় ভ্রূণের মস্তিষ্ক তৈরিতে সাহায্য করে, মিসক্যারেজ হওয়া প্রতিরোধ করে।

 ঢেঁড়সে রয়েছে  ক্যালসিয়াম, লোহা যা কিনা হাড়কে মজবুত রাখে। দাঁত ও মাড়ির রোগেও ঢেঁড়স উপকারী।এমনকি মহিলাদের অস্ট্রিপোরেসিস -এর ঝুঁকি কমায়।

ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন,ক্যারোটিন চোখের জন্য ও ভালো-চোখের ছানি দূর করে।

ত্বকের বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ঢেঁড়স  ত্বকের রক্ত চলাচল বৃ্দ্ধি করে ও বিষাক্ত পদার্থ দূর করে শরীরের টিস্যু পুনর্গঠনে ও ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে।

ঢেঁড়সে থাকা ভিটামিন সি, অ্যান্টি ইনফ্লামেটোরি এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শ্বাস কষ্ট প্রতিরোধ করে এছাড়া অ্যাজমার লক্ষণ বৃদ্ধি প্রতিরোধে এবং অ্যাজমার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে ঢেঁড়স বেশ উপকারী।

লোহিত কণিকার পরিমাণ বাড়িয়ে আ্যনেমিয়ার সমস্যাকে কমায়।মহিলাদের জন্য যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।


ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে সাহায্য করে।

ব্লাড সুগার কমাতে সাহায্য করে এটি । এতে থাকা থায়ামিন ডায়াবেটিক রোগীর স্নায়ুতন্ত্রে পুষ্টি সরবরাহ করে সতেজ রাখে। তাই ডায়াবেটিক রোগীদের প্রতিদিন খাবারপাতে রাখা উচিত ঢেঁড়স।


Friday 31 July 2020

জবার গুনাগুণ

চুল-এর  যত্ন থেকে রোগ সারানোর কাজ সব কিছুতেই জবার গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমরা ছোটবেলা জবা কুসুম তেল মাথা ঠান্ডা রাখে একথা শুনেছি নিচে এমনি কয়েকটি গুনাগুণ তুলে ধরা হলো-

জবা গাছ রোপণের পদ্ধতি এখানে






ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় : 

ব্রণ-এর সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন জবা ফুল অনেক উপকারী। কেননা প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান এবং ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই জবা ফুল ব্রণের সমস্যা প্রাকৃতিকভাবেই নির্মূল করে থাকে।


হজমে সহায়তা : 

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে এই জবা ফুল খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। জবা ফুল হজমেও সহায়তা করে।

চুলের যত্ন : 

প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন এই জবা ফুল চুলে বিভিন্ন পুষ্টি প্রদান করে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে উজ্জ্বল আর ঝলমলে করে তোলে। নারিকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল কালো হয় , চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা পায়,চুল পড়াও বন্ধ হয়। প্রাকৃতিকভাবেই এই ফুলটি রোদের তাপে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।প্রাকৃতিক শ্যাম্পু,কন্ডিশনা্র হিসেবেও কাজ করে। ভালো  ফলাফল পেতে এর সাথে মেথি গুড়া,দই,মধু ব্যব হার করা যেতে পারে

অনিয়মিত মাসিক: 

অনিয়মিত মাসিক অর্থাৎ দুই এক দিন একটু একটু হয়, আবার সময় হয়ে গিয়েছে আদৌ হয়না আবার হয়তো এক মাস বন্ধ হয়ে থাকলো, এ ক্ষেত্রে দু তিনটি পঞ্চমুখী জবা ফুলের কুঁড়ি ও আধা গ্রাম দারুচিনি এক সঙ্গে বেটে সরবত করে ঋতুকালীন সময়ে দিনে একবার করে ৩/৪ দিন খেলে মাসিক স্বাভাবিক হবে।

বমি করতে চাইলে : 

অনেক সময় উল্টো-পালটা খেয়ে ফেললে যদি বমি করার প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে ৪/৫টি জবা ফুল নিয়ে বোঁটার সঙ্গে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে, এই অংশ টাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণমত দিয়ে চটকে সরবত করে দিনে ২/১ বার খেলে বমি হয়ে যাবে।

টাক সমস্যা : 
চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গা চুল উঠে টাক হয়ে গেছে এ অবস্থায় জবা ফুল বেটে ওখানে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে চুল উঠবে। এক/দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন  দুই/এক ঘণ্টা রাখতে হবে।


ঠান্ডা লাগলেঃ 

ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর আসলে, গলা ব্যথ্যা হলে এর উপশম করে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন-সি। 


অ্যান্টি এজিং হিসেবে

কোনো ফুলে যদি বোটক্স প্রপার্টি  থাকে, তা হলে সেটা জবা ফুল। মুখের স্কিনকে টানটান করে ধরে রাখে আর স্কিনের বয়স কমিয়ে দেয়। কয়েকটা জবা ফুল নিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পরে মুখে লাগিয়ে রাখুন।  চোখের চারপাশে যেন ওই মিশ্রণ না লাগে। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

ফেস প্যাক বানাতে ঃ

ফুলের তৈরি ফেসপ্যাক  ব্যবহার করলে আপনি স্কিনের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। খুবই সহজে বানানো যায় জবা ফুলের ফেসপ্যাক। বেশি করে জবা ফুল নিয়ে সেগুলোকে শুকনো করে গুঁড়ো করে একটি কৌটোয় ভরে রেখে দিন। স্নান করার আগে বা শুতে যাওয়ার আগে জল, দুধ অথবা ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে স্কিন গ্লো করবে আর বলিরেখাও দূর হবে।ত্বক শুষ্ক হলে নারিকেল তেলের সাথে এবং তৈলাক্ত হলে চালের গুড়ো মেশাতে পারেন।


চোখ ওঠা : 

চোখ ওঠা রোগে জবা ফুল বেটে চোখের ভেতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায়  লাগালে উপকার পাওয়া যায়। ৭/৮ দিন এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে।



নয়নতারার গুণাগুণ

নয়ন তারা যদিও গবাদী পশুর জন্য ক্ষতিকর তবে এর কিছু ঔষুধী গুণাবলি রয়েছে।
তবে নয়নতারা কিছুটা বিষাক্তও হতে পারে।ইতালিতে একে বলা হয় "flower of death".
বর্তমানে লিঊকেমিয়ার ঔষুধ হিসেবে এর গবেষনা চলছে।
কিন্তু এর ঔষুধী গুণাবলি বেশি।নয়ন তারা উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন এখানে








  • মৌমাছির হুল,্লাল বা কাঠ পিপড়ের কামড়ে পাতা থেতলে রস লাগালে ব্যথা দ্রুত উপশম হয়।
  • নয়ন তারার ফুল সারা রাত রেখে স কালে  সিদ্ধ করে ছেেঁকে এর পানি ৭/৮ দিন সেবন ক রলে ক্রিমি থেকে মুক্তি মেলে।
  • রক্তে চিনি মাত্রা নিয়ন্ত্রণে এর ভূমিকা রয়েছে। ফ লে এটি ডায়বেটিস রোগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে এক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
  • বাত ব্যথা,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে,মেধা বিকাশেও এর ভূমিকা রয়েছে

Thursday 30 July 2020

পুদিনার উপকারিতা

পুদিনার গুনের কথা যদি বলা হয় তাহলে শেষ করা যাবে না।পুদিনার প্রকারভেদ জানতে ক্লিক করুন 
পুদিনার গাছ কিভাবে লাগাবেন জানতে ক্লিক করুন

  কয়েকটি এখানে তুলে ধরা হলো-



পেটে ব্যথায়- 
পেটে ব্যথা কমাতে পুদিনার ভূমিকায় রয়েছে।পুদিনা পাতার রস ১ চা চামচ ও আদার রস ১ চা চামচ একসাথে মিশিয়ে তাতে অল্প লবণ দিয়ে এ রস দিনে ২-৩ বার খেলে তীব্র পেটের ব্যথা  সেরে যাবে। এছাড়া অনেকদিনের পেট ব্যথাও পুদিনার রসে সেরে যায়।

মাথা ব্যথা
পুদিনার তীব্র গন্ধ মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে।মিন্ট তেলযুক্ত বাম মাথা ব্যথা ও বমিভাব কমায়।


অ্যাস্থেমাতে- 
মিন্ট বা পুদিনা ফুস্ফুস পরিষ্কার রেখে অ্যাস্থামাতে আরাম দেয়।

ত্বকের যত্ন-
ব্রণে দূর করতে সাহায্য করে পুদিনার রস। এজন্য পুদিনার রস ও মধু দিয়ে মুখটি কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলতে হবে কুসুম গরম পানি দিয়ে তাতে ব্রণ কমে যায় ও তৈলাক্তভাব দূর হয়। ক্লিন্সার হিসেবেও পুদিনা ব্যবহার করা যায়।

দাঁত-এর যত্নে
পুদিনা সিদ্ধ করা পানি মুখের গন্ধ দূর করে এছাড়া পুদিনা পাতা চাবালেও মুখের গন্ধ  দূর হয়।পুদিনা পাতা পুড়িয়ে ছাই দিয়ে দাঁত মাজলে দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়।দাঁতের ময়লা দূর ক রে এজন্য অনেক টূথপেস্টেই মিন্ট ব্যহার করা হয়।

ঠান্ডা ও সর্দি কাশিতে পুদিনা-
পুদিনা ঠান্ডায় ভালো কাজ ক রে। এটির গন্ধ নাক,গলা,ফুস্ফুস পরিস্কার করে নাকের ভেতর পুদিনা পাতার রসের ১-২টি ফোটা ফেললে সর্দি সারে।পুদিনাপাতা, টাটকা রস অল্প মধুর সাথে মিশিয়ে, প্রতি ২ ঘণ্টা পরপর ১ চা চামচ করে খাওয়ালে নিউমোনিয়া রোগীর অনেক বিকার দূর হবে এবং জ্বরও তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।কাশি হলে পুদিনা পাতা ব্যবহার করতে নিতে পারেন। গরম জলে সামান্য পরিমাণ পুদিনা পাতা সেদ্ধ করে পান করুন। এটি এক্সপেক্টোরেন্টের কাজ করবে।


এছাড়া পুদিনা পাতা ক্লান্তি দূর করতে,ওজন কমাতে,  সাহায্য করে।

পুদিনা(Mint)

অনেকেই আমরা পুদিনা নামটির সাথে পরিচিত।সুগন্ধি মসলা জাতীয় উদ্ভিদ এটি।পুদিনার ব্যবহার ও উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন এখানে
পুদিনা বারান্দা বা ছাদে মাটির টব খুব সহজেই চাষ করে চাহিদা মেটানো যায়,এছাড়া হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ঘরের ভিতরেও চাষ করা যায়।অনেক ধরনের পুদিনা রয়েছে চাহিদার উপর নির্ভর করবে কোনটি লাগাবেন।পুদিনার প্রকারভেদ জানতে ক্লিক করুন এখানে
পদ্ধতিঃ

টবে লাগানোর পদ্ধতিঃ

প্রথমে এক টি ১২ ইঞ্চি চওড়া টব নিতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে টবটির ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকে।মাটির সাথে কম্পোস্ট মিশাতে পারেন।মাটি যেন পলিমার যুক্ত হয় যাতে পানি ধরে রাখতে পারে।পুদিনার বীজ নিতে পারেন(বীজ থেকে পুদিনা চাষ করা একটু কঠিন হতে পারে) অথবা ছোট পুদিনার চারা গুলো লাগাতে পারেন,কাটিং পদ্ধতিতেও  গাছ লাগাতে পারেন।যদি অনেক চারা লাগাতে চান একটি টবে চারা গুলোর মধ্যে ৬ ইঞ্চি ফাকা থাকা ভালো।টবটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন সকালের আলো পায় একই সাথে বিকালের ছায়াও পায়,বারান্দা হলে পূর্বমূখী হলে ভালো।প্রথম বছরে গাছটিকে প্রায়ই পানি দিতে হবে যাতে মাটি আর্দ্র থাকে তবে অতিরিক্ত নয়।মাঝমধ্যে ট্রিম করে নিতে পারেন।
ঘরে রাখলে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাতাস পায়,নয়তো পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে।



হাইড্রোপনিক পদ্ধতি

কাটিং পদ্ধতিঃ

একটি পূর্ণাঙ্গ পুদিনা পাতা নিয়ে নিচের থেকে ১/২ইঞ্চি ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে।এরপর গাছটিকে একটি পানির গ্লাসে রাখতে হবে।১ সপ্তাহ পর তাতে সাদা মূল দেখা যাবে.৫/৬ দিন পর পানি পরিবর্তন করতে হবে,পানিতে কোন পাতা পড়লে তা ফেলে দিতে হবে।

হাইড্রোপনিক পদ্ধতিঃ কাটিং পদ্ধ্তির মতোই এই পদ্ধতি,শুধু এই পদ্্ধতিতে একটি ক ন্টেইনার ব্যব হার ক রতে হবে যাতে কাটিংটি পানির উপরে থাকে এবং পানিটি ৩/৪দিন পর পরিবর্তন  করতে হবে।গ্লাস টিকে সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। এভাবে গ্লাসের পানিতেই রান্নাঘরে রাখতে পারেন পুদিনা।





Saturday 18 July 2020

ঘৃতকুমারীর ব্যবহার

ঘৃতকুমারী(Aloe Vera) এর যেমন ঔষুধি গুণাগুন রয়েছে তেমনি রুপ পরিচর্যায় এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।তবে এর কিছু অপকারিতাও আছে।অ্যালোভেরা কিভাবে লাগাবেন জানতে ক্লিক করুন
এখানে তুলে ধরা হলো-










হার্ট সুস্থ রাখতে

আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।

    দাঁতের যত্নে

    অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন-সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণাই দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।


    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধিতে

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে অ্যালোভেরা।এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।আরথাইটিস-এর ব্যথ্যা কমাতেও এর ভুমিকা রয়েছে

      এন্টেস্পটিক হিসেবে ব্যবহার

      কোথায় পুড়ে,কেটে গেলে অ্যালোভেরার জেল আরাম দেয়,এবং পোড়া দাগ কমিয়ে দেয়।

        হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে 

        হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভব।

          ত্বকের যত্নে  

          ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।শুষ্ক ত্বকের জন্য  Moisturizers হিসেবে ব্যবহার হয়।Anti-aging হিসেবে,ত্বক সুন্দর রাখতে এর ভুমিকা  অনেক।ক্লিঞ্জার হিসেবেও একে ব্যবহার করা হয়

            চুল সুন্দর করতে 

            অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যায় না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমল চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। নারিকেল তেলের সাথে এর ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়।এবং অল্প কয়েকদিনেই চুল বৃ্দ্ধি পায়।

            তবে অ্যালোভেরা অনেকের জন্য সমস্যার কারণ। যাদের রসুন,পিঁয়াজে অ্যালার্জি তাদের অ্যালোভেরা ব্যবহার করা উচিত নয়।এছারা গর্ভবতী্ ও প্রসূতি মায়ের ব্যবহার না করাই ভালো।কোনো ঔষুধ সেবন করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যালোভেরা খেতে হবে।