Friday, 31 July 2020

ছাদ বাগানে ঢেড়শ(Okra)

ঢেঁড়স  আমরা ভর্তা-ভাজি হিসেবে অনেকেই খেয়ে থাকি।ছাদে কিংবা বাড়ীর খোলা জায়গায় অনায়েসেই এটি লাগানো যায়।আমাদের দেশে অনেক ধরণের ঢেঁড়স রয়েছে। তাঁর মধ্যে কিছু  উন্নত জাতের। যেমন  কাবুলী ডোয়ার্ফ,  লক্ষৌ ডোয়ার্ফ,  লং গ্রীন,  লং হোয়াইড়,পুশা শাওনী এদের বীজ বাজার থেকে সংগ্রহ করে লাগাতে পা্রেন।
ঢেড়সের উপকারিতা জানতে


কিভাবে রোপণ করবেন

প্রথমে বীজ সংগ্রহ করতে হবে।বীজ ১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখার পর পানি ফেলে দিয়ে টিস্যুতে মুড়িয়ে রাখার পর বীজের মুখ ফেঁটে সাদা দেখাবে। সেগুলো মাটিতে বপন করলে পরের দিন চারা বের হয়।বীজ বপনের দুই একদিনের দিনের মধ্যে চারা গজায় । চারা তৈরি করার জন্য  পলিব্যাগ, বাজারের ব্যাগ, গামলা, দুধের প্যাকেট ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে।গজানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পর চারা মূল টবে স্থানান্তর করতে হবে । টব হিসেবে পাঁচ লিটার তেলের বোতল, ফলের ঝুড়ি, বালতি, মাটির টব ইত্যাদি ব্যবহার করা যেতে পারে । একটি ফলের ঝুড়িতে গাছ ভাল জন্মায়।
 এক-দেড় মাস পর থেকেই ফুল আসা শুরু করবে। ফুল থেকে ঢেঁড়স ধরার দু-একদিন পরেই সেটি বড় হয়ে যায়। প্রতিদিনই প্রায় ঢেঁড়স সংগ্রহ করা যায়।কাচা থাকতেই সংগ্র করতে হবে,পেকে গেলে এর স্বাদ ভালো হয় না।
মাটির জন্য দোআশঁ ও বেলে মাটি ভালো। এর সাথে সরিষার খৈল অথবা গোবর দেয়া যেতে পারে।


গাছের যত্ন

পানি দেয়ার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যাতে পানি না জমে।আগাছা জন্মালে উঠিয়ে ফেলতে হবে।
ঢেঁড়স গাছে সাদামাছি  আক্রমণ হতে পারে। যার কারণে মোজাইক ভাইরাস হয়। প্রতিদিন পর্যবেক্ষণ করে পোকা দমন করতে হবে।

অল্প পোকা হলে পানি দিয়ে ধুয়ে দমন করাই উত্তম। বেশি আক্রমণ হলে, পোকা দমনের জন্য এডমায়ার বা ইমিটাফ বা রিপকর্ড বা একতারা ব্যবহার করতে পারেন।
প্রতি লিটার পানিতে এক মিলি হারে মিশাতে হবে। খাওয়ার উপযোগি ঢেঁড়স তোলার পর স্প্রে করতে হবে। স্প্রে করার ৩ থেকে ৫ দিন ফসল তুলা যাবে না। শুয়ো পোকার আক্রমণ থেকে সাবধানে থাক তে হবে।যেকোনো ভাইরাস বা ছত্রাক অংশ আক্রান্ত হলে তা পুড়িয়ে ফেলাই উত্তম।

No comments:

Post a Comment