Showing posts with label বারান্দা. Show all posts
Showing posts with label বারান্দা. Show all posts

Sunday, 11 October 2020

গাছের যত্নে চা-পাতা

চা খান না,এমন কম লোকই পাওয়া যাবে।।চা শুধু মনকেই চাঙা করে তোলে না সাথে সাথে গাছের যত্নেও এর রয়েছে ভূমিকা।






কিভাবে ব্যবহার করা যাবে- 

বাসায় বানানো চায়ের লিকার কিংবা দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারেন।এরপর এটিকে জৈব সারে পরিণত করতে একটি পাত্রে জমিয়ে রাখতে পারেন ১০ থেকে ১৫দিন। ছাদ বাগানের গাছে অথবা টবে ভালো সার হিসেবে কাজ করবে।গোলাপগাছ,পাতাবাহার গাছের জন্য খুবই উপকারী চায়ের লিকার। চায়ের লিকারের শক্তি বেশি থাকায় ৪ ভাগের তিন ভাগ  বেলে দো-আঁশ এবং এক ভাগ লিকার ব্যবহার করা যেতে পারে।গাছের বৃদ্ধি ভালো না হলে  পরিমাণ কিছুটা বাড়িয়ে দেয়া যায়.



সতর্কতাঃ

 চায়ের লিকার গাছে এক থেকে দেড় মাস পর পর দেয়া যায়,কিন্তু পরিমাণ যাতে বেশি না হয়ে যায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। সরাসরি লিকার অথবা অব্যবহৃত লিকার ব্যবহার করা উচিত নয়।দুধ-চিনি মেশানো লিকার গাছের পিপড়ার উপদ্রব বাড়াতে পারে।

Thursday, 30 July 2020

পুদিনা(Mint)

অনেকেই আমরা পুদিনা নামটির সাথে পরিচিত।সুগন্ধি মসলা জাতীয় উদ্ভিদ এটি।পুদিনার ব্যবহার ও উপকারিতা জানতে ক্লিক করুন এখানে
পুদিনা বারান্দা বা ছাদে মাটির টব খুব সহজেই চাষ করে চাহিদা মেটানো যায়,এছাড়া হাইড্রোপনিক পদ্ধতিতে ঘরের ভিতরেও চাষ করা যায়।অনেক ধরনের পুদিনা রয়েছে চাহিদার উপর নির্ভর করবে কোনটি লাগাবেন।পুদিনার প্রকারভেদ জানতে ক্লিক করুন এখানে
পদ্ধতিঃ

টবে লাগানোর পদ্ধতিঃ

প্রথমে এক টি ১২ ইঞ্চি চওড়া টব নিতে হবে, তবে খেয়াল রাখতে হবে টবটির ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকে।মাটির সাথে কম্পোস্ট মিশাতে পারেন।মাটি যেন পলিমার যুক্ত হয় যাতে পানি ধরে রাখতে পারে।পুদিনার বীজ নিতে পারেন(বীজ থেকে পুদিনা চাষ করা একটু কঠিন হতে পারে) অথবা ছোট পুদিনার চারা গুলো লাগাতে পারেন,কাটিং পদ্ধতিতেও  গাছ লাগাতে পারেন।যদি অনেক চারা লাগাতে চান একটি টবে চারা গুলোর মধ্যে ৬ ইঞ্চি ফাকা থাকা ভালো।টবটি এমন জায়গায় রাখতে হবে যেন সকালের আলো পায় একই সাথে বিকালের ছায়াও পায়,বারান্দা হলে পূর্বমূখী হলে ভালো।প্রথম বছরে গাছটিকে প্রায়ই পানি দিতে হবে যাতে মাটি আর্দ্র থাকে তবে অতিরিক্ত নয়।মাঝমধ্যে ট্রিম করে নিতে পারেন।
ঘরে রাখলে এমন জায়গায় রাখতে হবে যাতে বাতাস পায়,নয়তো পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারে।



হাইড্রোপনিক পদ্ধতি

কাটিং পদ্ধতিঃ

একটি পূর্ণাঙ্গ পুদিনা পাতা নিয়ে নিচের থেকে ১/২ইঞ্চি ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে।এরপর গাছটিকে একটি পানির গ্লাসে রাখতে হবে।১ সপ্তাহ পর তাতে সাদা মূল দেখা যাবে.৫/৬ দিন পর পানি পরিবর্তন করতে হবে,পানিতে কোন পাতা পড়লে তা ফেলে দিতে হবে।

হাইড্রোপনিক পদ্ধতিঃ কাটিং পদ্ধ্তির মতোই এই পদ্ধতি,শুধু এই পদ্্ধতিতে একটি ক ন্টেইনার ব্যব হার ক রতে হবে যাতে কাটিংটি পানির উপরে থাকে এবং পানিটি ৩/৪দিন পর পরিবর্তন  করতে হবে।গ্লাস টিকে সূর্যের আলোতে রাখতে হবে। এভাবে গ্লাসের পানিতেই রান্নাঘরে রাখতে পারেন পুদিনা।





Sunday, 19 July 2020

ফুলের নামটি আলোকনন্দা

ফুলের নামটি আলোকনন্দা,তবে এর আরো নাম রয়েছে অলোকনন্দা,ঘন্টাফুল,হড়কাকড়া,মাইকফুল,হলুদ ঘন্টি ।আমাদের দেশে অনেক ধরনের অলোকনন্দা দেখা যায়,কিন্তু এরা দেশী ফুল নয়।এর ইংরেজি নাম Allamanda yellow, Allamanda ,Yellow trumpet.রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এর বাংলা নামকরণ করেছিলেন। বেশীরভাগ ফুল গুলো হলুদ ও সাদা রং -এর হয়ে থাকে। দেখতে ঘণ্টার মত।মেক্সিকো থেকে আর্জেনটিনা পর্যন্ত এর বিস্তৃতি রয়েছে।

ছাদে অথবা বারান্দায় অনেকেই এই ফুল লাগিয়ে থাকে। ফুল গুলো সাধারনত গ্রীষ্মকাল ও বসন্ত-এ ফোটে,তবে বর্ষাাতেও এই ফুল দেখা যায়। একবার ফুটলে অনেকদিন সতেজ থাকে।


বারান্দা হলে ডালটিকে এভাবে আলোতে বাইরে রেখে দিন 


মাটি তৈরীঃ 

একটি  টবে সেচ এর জন্য জায়গা রেখে পিট,কম্পোস্ট ও বালু সমপরিমাণ-এ দিয়ে মাটি তৈরী করতে হবে। একটি মাটির পাত্র/প্লেট নিয়ে তাতে পাথর ও পানি দিয়ে উপরে টবটি রাখলে টব এবং মাটির আর্দ্র্রতা ধরে রাখবে।

যত্নঃ

গাছে পর্যাাপ্ত আলো যেন পায় সে স্থানে রাখতে হবে,এছাড়া একবার পানি দেবার পর উপরের মাটি শুকিয়ে যাবার পরই পানি দিতে হবে।গাছে ছোট মাকড়শা বা সাদা মাছির উপদ্রব দেখা যায়,এজন্য নিম স্প্রে বা হরটিকালচারাল সোপ ব্যবহার করতে পারেন। প্র্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে এরপর ঔষুধ দিতে হবে।
গাছের ঝুলে পড়া ডালের জন্য শক্ত   বাঁশ    এর কঞ্চি ব্যবহার করতে পারেন।

লক্ষণীয়

  • আলকনন্দা ছায়া/ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না,এদের গরম আবহাওয়া পছন্দ।
  • লবণাক্ত মাটি এরা সহ্য  করতে পারেনা
  • পর্যাপ্ত পরিমাণে আলো ও বৃষ্টির পানি দরকার হয়।

Saturday, 18 July 2020

ঘৃতকুমারী(Aloevera)

আমরা অনেকেই ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার নাম সম্পর্কে জানি, অনেকেই শৌখিনতার পাশাপাশি রূপ পরিচর্যার কাজে ও ঔষুধী গাছ হিসেবে লাগিয়ে থাকেন।
অ্যালোভেরার ব্যবহার জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

ঘৃতকুমারী/অ্যালোভেরার রস মাঝেমধ্যেই রাস্তায় বিক্রি করতে দেখা যায় কিন্তু এখন লকডাউনের কারণে অনেকই বাইরে যেতে পারছে না,তাই ঘরে বারান্দা অথবা ছাদেই লাগিয়ে ফেলুন এই গাছ ।

বারান্দার শোভা বাড়াবে অ্যালোভেরা


কিভাবে লাগাবোঃ

অ্যালোভেরার জন্য সব ধরনের মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে,তবে সবচেয়ে ভালো হয় দো-আশঁ ও সামান্য বালু মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হলে। গাছ লাগানোর জন্য পাত্র হিসেবে মাটির টব অথবা প্লাস্টিকের বড় পানির বোতলে মুখ কেটে ব্যবহার  করা যেতে পারে। বোতল হলে কয়েকটি ফুটো করে দিতে হবে।এরপর চারা এনে লাগাতে হবে। চারার হওয়ার পর কয়েকটি চারা গজায়,অন্য জায়গায় প্রতিস্থাপন  করতে পারেন। মূল থেকে গজে ওঠা শাখার সাহায্যে এর বংশবৃদ্ধি হয়।
পাতার সাহায্যেও লাগাতে পারেন।এজন্য একটি পরিপূর্ণ পাতা নিতে  হবে,খেয়াল রাখতে হবে পাতাটি যেন সুস্থ হয় এরপর একটি ধারালো ছুরির সাহায্যে মাঝখান দিয়ে কাটতে হবে সাবধানে, সংগ্রহ করা পাতাটিতে যেন কোনোরকম খোচা না লাগে। এরপর পাতাটির কাটা উপরের  অংশটি রোদে রেখে দিতে হবে কিছুদিন পর  পাতাটির ভিতরের  জেলটি  শুকিয়ে যাবে। এরপর পাতাটিকে পাত্রে স্থাপন করতে হবে। পাতাটির মাটি আর্দ্র রাখতে হবে, এজন্য পানি দিতে হবে। পানি শুকিয়ে যাবার পরই আবার পানি দিতে হবে,অতিরিক্ত পানিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    লক্ষনীয়ঃ 

  • গাছে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে,পানি বের হয়ে যাবার জায়গা রাখতে হবে.
  • বর্ষাকালে পানি তেমন পানির প্রয়োজন হয় না ।
  • অ্যালোভেরা গাছে পর্যাপ্ত আলো প্রয়োজন(৮ -৯ ঘন্টা) তাই বারান্দা হলে দক্ষিনমূখী অথবা পশ্চিমমূখী হলে ভালো হয়
  • ছাদে হলে কোনো গাছের ছায়ার রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত রোদ না লাগে।রোদে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়।
  • মুষড়ে পড়লে পর্যাপ্ত পানি দিন গাছে। এবং হলুদ হলে ছায়ায় এনে রাখুন ।
  • সার দেবার তেমন প্রয়োজন হয় না,ব্যবহার করলে বছরে একবার বসন্তের সময় করা যেতে পারে।

Thursday, 16 July 2020

ছাদ বাগান কিভাবে করবো

ছোট পরিসরে করতে চাইলে - ছাদ বাগান বর্তমানে জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ এই বাগান করা যেমন সহজ তেমনি হাতের কাছের অনেক জিনিসেই সহজেই ছোট বাগান গড়ে উঠতে পারে। ছোট পরিসরে করার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে-ফেলে দেয়া কৌটা,দইয়ের বাটি  অথবা ছোট টব  ইত্যাদি। আপনার বারান্দাতে,জানালার পাশে এসব জিনিস ছোট হওয়ায় খুব সহজেই জায়গা হয়ে যাবে।তাতে ফেলে দিতে পারেন  কাঁচা  মরিচের বীজ অথবা  বোম্বে মরিচের বীজ অথবা   ধনে পাতার নিচের অংশটি ফেলে না দিয়ে পুতে ফেলতে পারেন। খুব সহজেই দেখবেন একটু যত্নেই বেড়ে উঠেছে।এছাড়া অ্যালোভেরা,পাতাবাহার,থানকুনি পাতা,তুলসি,পাথর কুচির মতো গাছ লাগাতে পারেন যা আপনার ঔষুধি চাহিদাও পূরন করবে।লাগাতে পারেন গুল্ম জাতীয় ফুল গাছ- গাঁদা,গোলাপ।
ফেলে দেয়া কৌটাতে লাগাতে পারেন মরিচের মত ছোট গাছ

            বারান্দাতেই হতে পারে আপনার  ছোট বাগান
                                     


বড় পরিসরে করার জন্য- বড় পরিসরে  করতে চাইলে ব্যবহার করা যেতে পারে ড্রাম,  মাটির টব, স্টিল বা ফ লের প্লাস্টিক ট্রে। অনেক সময়  ভাঙা  বালতি, অব্যবহৃত তেলের বোতলও ছোটখাটো গাছ রোপণের জন্য ব্যবহার করা যায়।  ছাদের সুবিধা মতো স্থানে স্থায়ী বেড (ছাদ ও বেডে মাঝে ফাঁকা রাখতে হবে) স্থাপন করা যেতে পারে। এসব বেডে মূলত সবজি, শাক চাষ করা যায়। চাইলে লাগানো যায় ফুলগাছ। স্থায়ী বেড বানাতে না চাইলে পুরনো বাথটাব অনেক জায়গায় বেড হিসেবে ব্যবহার করা হয়।পুরোনো বাথটাব আপনার আশেপাশের ভাঙ্গারি দোকানেই পেয়ে যাবেন।                   
গাছের জন্য তৈরি করতে পারেন মাচা
                       

যেহেতু ছাদ বাগান স্বল্প পরিসরে গড়ে তোলা হয় কাজেই এর যত্ন-এর দিকে সব সময় নজর রাখতে হবে। সে জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি প্রথমেই সংগ্রহ করে নিতে হবে। এসব যন্ত্রপাতির মধ্যে আছে সিকেচার, কোদাল, কাচি, ঝরনা, বালতি, করাত, খুরপি, স্প্রে মেশিন এসব। চারা রোপণের আগে চারার উচ্চতা, শিকড়ের প্রকৃতি, সহিষ্ণুতা এসব জিনিসের প্রতি নজর রাখতে হবে। সব চারা ও গাছ ছাদ বাগানের জন্য উপযুক্ত না। 

ফুলের মেলায় ভরে  উঠুক আপনার বাগান
সাধারণত ফল গাছের জন্য হাফ ড্রাম ব্যবহার করা উচিত। এর তলদেশে অতিরিক্ত পানি নিষ্কাশনের জন্য ১ ইঞ্চি ব্যাসের ৫-৬টি ছিদ্র রাখতে হবে। ছিদ্রগুলোর ওপর মাটির টবের ভাঙা টুকরো বসিয়ে দিতে হবে। ড্রামের তলদেশে ১ ইঞ্চি পরিমাণ ইটের খোয়া বিছিয়ে তার ওপর বালি  দিয়ে ঢেকে দিতে হবে।  সমপরিমাণ দো-আঁশ মাটি ও পচা গোবরের মিশ্রণ দিয়ে ড্রামটির দুই তৃতীয়াংশ ভরার পর হাফ ড্রাম অনুযায়ী ড্রাম প্রতি মিশ্র সার আনুমানিক ৫০-১০০ গ্রাম প্রয়োগ করে মাটির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে এবং সম্পূর্ণ ড্রামটি মাটি দিযে ভর্তি করে নিতে হবে। ১৫ দিন পর ড্রামের ঠিক মাঝে মাটির বল পরিমাণ গর্ত করে কাক্সিক্ষত গাছটি রোপণ করতে হবে। এ সময় চারা গাছটির অতিরিক্ত শিকড়-মরা শিকড়গুলো কেটে ফেলতে হবে এবং খেয়াল রাখতে হবে মাটির বলটি যেন ভেঙে না যায়। রোপিত গাছটিতে খুঁটি দিয়ে বেঁধে দিতে হবে। রোপণের পর গাছের গোড়া ভালোভাবে পানি দিয়ে ভিজিয়ে দিতে হবে। সময়ে সময়ে প্রয়োজনমতো গাছে পানি সেচ ও উপরি সার প্রয়োগ বালাই দমন ব্যবস্থা নিতে হবে। চাইলে   টব বা ড্রাম এ মাটি দেয়ার আগেই মাটি শোধন করে নেয়া যেতে পারে। গাছের বাড়-বাড়তি অনুযায়ী ২ বারে টব প্রতি ৫০-১০০ গ্রাম মিশ্র সার প্রয়োগ করে ভালোভাবে মিশিয়ে দিতে হবে।   
সার বা মাটি তৈরির ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো সাহায্য নেয়াই ভালো