ঘৃতকুমারী(Aloe Vera) এর যেমন ঔষুধি গুণাগুন রয়েছে তেমনি রুপ পরিচর্যায় এর জনপ্রিয়তা রয়েছে।তবে এর কিছু অপকারিতাও আছে।অ্যালোভেরা কিভাবে লাগাবেন জানতে ক্লিক করুন
এখানে তুলে ধরা হলো-
হার্ট সুস্থ রাখতে
আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে অ্যালোভেরার জুস। অ্যালোভেরা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এটি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণ করে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে।
দাঁতের যত্নে
অ্যালোভেরার জুস দাঁত এবং মাড়ির ব্যথা উপশম করে থাকে। দাঁতে কোন ইনফেকশন থাকলে তাও দূর করে দেয়। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস খাওয়ার ফলে দাঁত ক্ষয় প্রতিরোধ করা সম্ভব।অ্যালোভেরায় আছে ভিটামিন-সি, যা মুখের জীবাণু দূর করে মাড়ি ফোলা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করে। গবেষণাই দেখা গেছে যে, অ্যালোভেরার জেল মাউথ ওয়াশ এর বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধিতে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃ্দ্ধি করে অ্যালোভেরা।এছাড়া ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।আরথাইটিস-এর ব্যথ্যা কমাতেও এর ভুমিকা রয়েছে
এন্টেস্পটিক হিসেবে ব্যবহার
কোথায় পুড়ে,কেটে গেলে অ্যালোভেরার জেল আরাম দেয়,এবং পোড়া দাগ কমিয়ে দেয়।
হজমশক্তি বৃদ্ধি করতে
হজমশক্তি বৃদ্ধিতে অ্যালোভেরা জুসের জুড়ি নেই। এটি অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে। ডায়রিয়ার বিরুদ্ধেও অনেক ভাল কাজ করে।সুষম খাদ্যের পাশাপাশি নিয়মিত অ্যালোভেরার রস পান করেন তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হওয়া সম্ভব।
ত্বকের যত্নে
ত্বকের যত্নে অ্যালোভেরার ব্যবহার সম্পর্কে আমরা সবাই জানি। অ্যালোভেরার অ্যান্টি ইনফ্লামেনটরী উপাদান ত্বকের ইনফেকশন দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমিয়ে দেয়।শুষ্ক ত্বকের জন্য Moisturizers হিসেবে ব্যবহার হয়।Anti-aging হিসেবে,ত্বক সুন্দর রাখতে এর ভুমিকা অনেক।ক্লিঞ্জার হিসেবেও একে ব্যবহার করা হয়
চুল সুন্দর করতে
অ্যালোভেরার গুনাগুন বলে শেষ করা যায় না, মাথায় খুশকি দূর করতে এর কোন তুলনা নেই। এমনকি ঝলমল চুলের জন্যেও অ্যালোভেরা অনেক উপকারী। নারিকেল তেলের সাথে এর ব্যবহারে চুলের গোড়া শক্ত ও মজবুত হয়।এবং অল্প কয়েকদিনেই চুল বৃ্দ্ধি পায়।
তবে অ্যালোভেরা অনেকের জন্য সমস্যার কারণ। যাদের রসুন,পিঁয়াজে অ্যালার্জি তাদের অ্যালোভেরা ব্যবহার করা উচিত নয়।এছারা গর্ভবতী্ ও প্রসূতি মায়ের ব্যবহার না করাই ভালো।কোনো ঔষুধ সেবন করলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে অ্যালোভেরা খেতে হবে।
No comments:
Post a Comment