আমরা অনেকেই ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার নাম সম্পর্কে জানি, অনেকেই শৌখিনতার পাশাপাশি রূপ পরিচর্যার কাজে ও ঔষুধী গাছ হিসেবে লাগিয়ে থাকেন।
অ্যালোভেরার ব্যবহার জানতে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে
ঘৃতকুমারী/অ্যালোভেরার রস মাঝেমধ্যেই রাস্তায় বিক্রি করতে দেখা যায় কিন্তু এখন লকডাউনের কারণে অনেকই বাইরে যেতে পারছে না,তাই ঘরে বারান্দা অথবা ছাদেই লাগিয়ে ফেলুন এই গাছ ।
বারান্দার শোভা বাড়াবে অ্যালোভেরা |
কিভাবে লাগাবোঃ
অ্যালোভেরার জন্য সব ধরনের মাটি ব্যবহার করা যেতে পারে,তবে সবচেয়ে ভালো হয় দো-আশঁ ও সামান্য বালু মিশ্রিত মাটি ব্যবহার করা হলে। গাছ লাগানোর জন্য পাত্র হিসেবে মাটির টব অথবা প্লাস্টিকের বড় পানির বোতলে মুখ কেটে ব্যবহার করা যেতে পারে। বোতল হলে কয়েকটি ফুটো করে দিতে হবে।এরপর চারা এনে লাগাতে হবে। চারার হওয়ার পর কয়েকটি চারা গজায়,অন্য জায়গায় প্রতিস্থাপন করতে পারেন। মূল থেকে গজে ওঠা শাখার সাহায্যে এর বংশবৃদ্ধি হয়।
পাতার সাহায্যেও লাগাতে পারেন।এজন্য একটি পরিপূর্ণ পাতা নিতে হবে,খেয়াল রাখতে হবে পাতাটি যেন সুস্থ হয় এরপর একটি ধারালো ছুরির সাহায্যে মাঝখান দিয়ে কাটতে হবে সাবধানে, সংগ্রহ করা পাতাটিতে যেন কোনোরকম খোচা না লাগে। এরপর পাতাটির কাটা উপরের অংশটি রোদে রেখে দিতে হবে কিছুদিন পর পাতাটির ভিতরের জেলটি শুকিয়ে যাবে। এরপর পাতাটিকে পাত্রে স্থাপন করতে হবে। পাতাটির মাটি আর্দ্র রাখতে হবে, এজন্য পানি দিতে হবে। পানি শুকিয়ে যাবার পরই আবার পানি দিতে হবে,অতিরিক্ত পানিতে নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
লক্ষনীয়ঃ
- গাছে যেন অতিরিক্ত পানি না জমে,পানি বের হয়ে যাবার জায়গা রাখতে হবে.
- বর্ষাকালে পানি তেমন পানির প্রয়োজন হয় না ।
- অ্যালোভেরা গাছে পর্যাপ্ত আলো প্রয়োজন(৮ -৯ ঘন্টা) তাই বারান্দা হলে দক্ষিনমূখী অথবা পশ্চিমমূখী হলে ভালো হয়
- ছাদে হলে কোনো গাছের ছায়ার রাখতে হবে যাতে অতিরিক্ত রোদ না লাগে।রোদে গাছের পাতা হলুদ হয়ে যায়।
- মুষড়ে পড়লে পর্যাপ্ত পানি দিন গাছে। এবং হলুদ হলে ছায়ায় এনে রাখুন ।
- সার দেবার তেমন প্রয়োজন হয় না,ব্যবহার করলে বছরে একবার বসন্তের সময় করা যেতে পারে।
No comments:
Post a Comment