চুল-এর যত্ন থেকে রোগ সারানোর কাজ সব কিছুতেই জবার গুনাগুণ বলে শেষ করা যাবে না। আমরা ছোটবেলা জবা কুসুম তেল মাথা ঠান্ডা রাখে একথা শুনেছি নিচে এমনি কয়েকটি গুনাগুণ তুলে ধরা হলো-
জবা গাছ রোপণের পদ্ধতি এখানে
ব্রণ থেকে মুক্তির উপায় :
ব্রণ-এর সমস্যার জন্য প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন জবা ফুল অনেক উপকারী। কেননা প্রাকৃতিক অ্যান্টি ইনফ্ল্যামাটরি উপাদান এবং ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ এই জবা ফুল ব্রণের সমস্যা প্রাকৃতিকভাবেই নির্মূল করে থাকে।
হজমে সহায়তা :
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে নিয়ম করে এই জবা ফুল খেলে শরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধ করে এবং হজমক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে শারীরিকভাবে সুস্থ রাখে। জবা ফুল হজমেও সহায়তা করে।
চুলের যত্ন :
প্রাকৃতিক গুণসম্পন্ন এই জবা ফুল চুলে বিভিন্ন পুষ্টি প্রদান করে চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করে উজ্জ্বল আর ঝলমলে করে তোলে। নারিকেল তেলের সঙ্গে জবা ফুল মিশিয়ে চুলে ব্যবহার করলে চুল কালো হয় , চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা পায়,চুল পড়াও বন্ধ হয়। প্রাকৃতিকভাবেই এই ফুলটি রোদের তাপে চুল ধূসর হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচায়।প্রাকৃতিক শ্যাম্পু,কন্ডিশনা্র হিসেবেও কাজ করে। ভালো ফলাফল পেতে এর সাথে মেথি গুড়া,দই,মধু ব্যব হার করা যেতে পারে
অনিয়মিত মাসিক:
অনিয়মিত মাসিক অর্থাৎ দুই এক দিন একটু একটু হয়, আবার সময় হয়ে গিয়েছে আদৌ হয়না আবার হয়তো এক মাস বন্ধ হয়ে থাকলো, এ ক্ষেত্রে দু তিনটি পঞ্চমুখী জবা ফুলের কুঁড়ি ও আধা গ্রাম দারুচিনি এক সঙ্গে বেটে সরবত করে ঋতুকালীন সময়ে দিনে একবার করে ৩/৪ দিন খেলে মাসিক স্বাভাবিক হবে।
বমি করতে চাইলে :
অনেক সময় উল্টো-পালটা খেয়ে ফেললে যদি বমি করার প্রয়োজন হয় এক্ষেত্রে ৪/৫টি জবা ফুল নিয়ে বোঁটার সঙ্গে যে সবুজ ক্যালিকাস অংশ থাকে, এই অংশ টাকে বাদ দিয়ে ফুল অংশটাকে পানি ও চিনি পরিমাণমত দিয়ে চটকে সরবত করে দিনে ২/১ বার খেলে বমি হয়ে যাবে।
টাক সমস্যা :
চুল স্বাভাবিক আছে অথচ ফাঙ্গাসে কিছু জায়গা চুল উঠে টাক হয়ে গেছে এ অবস্থায় জবা ফুল বেটে ওখানে লাগালে কিছু দিনের মধ্যে চুল উঠবে। এক/দুইটা ফুল বেটে ৭/৮ দিন দুই/এক ঘণ্টা রাখতে হবে।
ঠান্ডা লাগলেঃ
ঋতু পরিবর্তনের সময় ঠান্ডা লেগে জ্বর আসলে, গলা ব্যথ্যা হলে এর উপশম করে কারণ এতে রয়েছে ভিটামিন-সি।
অ্যান্টি এজিং হিসেবে ঃ
কোনো ফুলে যদি বোটক্স প্রপার্টি থাকে, তা হলে সেটা জবা ফুল। মুখের স্কিনকে টানটান করে ধরে রাখে আর স্কিনের বয়স কমিয়ে দেয়। কয়েকটা জবা ফুল নিয়ে থেঁতো করে নিন। তার পরে মুখে লাগিয়ে রাখুন। চোখের চারপাশে যেন ওই মিশ্রণ না লাগে। ১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
ফেস প্যাক বানাতে ঃ
ফুলের তৈরি ফেসপ্যাক ব্যবহার করলে আপনি স্কিনের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন। খুবই সহজে বানানো যায় জবা ফুলের ফেসপ্যাক। বেশি করে জবা ফুল নিয়ে সেগুলোকে শুকনো করে গুঁড়ো করে একটি কৌটোয় ভরে রেখে দিন। স্নান করার আগে বা শুতে যাওয়ার আগে জল, দুধ অথবা ফলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে মুখে লাগিয়ে নিতে পারেন। এতে স্কিন গ্লো করবে আর বলিরেখাও দূর হবে।ত্বক শুষ্ক হলে নারিকেল তেলের সাথে এবং তৈলাক্ত হলে চালের গুড়ো মেশাতে পারেন।
চোখ ওঠা :
চোখ ওঠা রোগে জবা ফুল বেটে চোখের ভেতরটা বাদ দিয়ে চোখের উপর ও নিচের পাতায় লাগালে উপকার পাওয়া যায়। ৭/৮ দিন এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে।
No comments:
Post a Comment