Thursday 30 July 2020

জবা(China rose)

জবা গাছটির সাথে আমরা অনেকেই পরিচিত। আমাদের আশেপাশে অনেক ধরনের জবা দেখা যায়-্লাল,হ্লুদ,গোলাপী,সাদা ইত্যাদি।
সাধারণত গরম ও শরৎ-এই ফুলে দেখা মেলে। এর অনেক গুনাগুণ রয়েছে। ঘরের আঙ্গিনায়,ছাদে অথবা বারান্দার শোভা বাড়ায়।
জবার  উপকারিতা জানতে






কিভাবে রোপণ করবোঃ 

জবা তিন ভাবে লাগানো যায়।-বীজের মাধ্যমে,শাখাকলাম, মূলের মাধ্যমে।
জবা গাছ সব ধরনের মাটিতেই জন্মে তবে দো-আশঁ মাটি বা বেলে মাটি এর জন্য ভালো। এর সাথে কিছুটা খৈল,হাড়ের গুড়ো,গোবর মেশানো ভালো। টবের নিচে ড্রেনেজ ব্যবস্থা রেখে মাটি দিয়ে রোপণ করতে হবে।বর্ষাকালের ১৫-১৬দিন পর লিকুইড সার দিতে হবে।একটি কাঠি পুঁতে দিতে হবে পাশে।গাছ লাগানোর পর চাপান সার বা ঝিনুক চুন দিতে পারেন।

গাছের যত্নঃ

পানি দিতে হবে নিয়মিত হবে তবে বেশি বা কম নয়। গোড়ায় পানি না জমে থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।মাসে দু'বার মাটি খুচিঁয়ে দিতে হবে।গাছটি বড় হলে ডগাটি ছেটে দিতে হবে। এরপর কয়েকদিন পর কান্ডের পাশ থেকে শাখা বের হবে, তাদের মধ্যে কয়েকটি শাখা রেখে বাকীগুলি ছিড়ে ফেলতে হবে। এরপর গাছের গোড়ায় মাটি দিয়ে দিতে হবে। সতেজ গাছ রাখতে হলে একটি সোজা শাখা ও ৪-৫ টি পার্শ্ব শাখা রাখতে হবে। গাছের পার্শ্ব কুঁড়িগুলি ছাটলে, অনেক ফুল হবে।  বেশী ফুল পেতে হলে গাছের আগা ভেঙ্গে দিন। বর্ষাকালের প্রথমে ও শরৎকালে ডাল ছাঁটতে হবে। ছাঁটাই এর পরে চাউবান্টিয়া পেন্ট ব্যবহার করুন।

জবা ফুলের পোকামাকড়  প্রতিকার:

জবাগাছের ক্ষেত্রে ছত্রাকের আক্রমনের সম্মুখীন হতে হয়। গাছে ছত্রাক/মিলিবাগ আক্রান্ত হলে, ফুলের বোটা নরম হয়ে যায়। এক্ষেত্রে মাসে একবার নিয়মিত কীটনাশক স্প্রে করলে ভাল হয়।  থ্রিপস ভাইরাস জবার কুঁড়ি ঝড়িয়ে দেয়। এতে পাতা কুঁকড়িয়ে যায়। মনোফিল,নিকোটিন সালফেট,রোগার প্রয়োগ করুন।বোর নের অভাবে ফুল আসা কমে যেতে পারে এজন্য বোরিক এসিড ৫লিটার পানিতে মিশিয়ে শেষ বিকেলে মাটি্র জন্য যত টুকু জরুরি তা ঢেলে দিতে পারেন।মাটি পুষ্টি পূরণের জন্য ভাতের মাড় পানির সাথে মিশিয়ে ছেকে মাটিতে দিতে পারেন ।

No comments:

Post a Comment